চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। করোনার বিস্তাররোধ করতে বিভিন্ন দেশে লকডাউন জারি করতে হয়েছে। অনেক দেশই এর সুফল পেয়েছে। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশে। ফলে মাসব্যাপী চলতে থাকা লকডাউন শিথিল করে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে।
স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে ফিরতে শুরু করেছে করোনার উৎসস্থল চীনের উহান শহরের মানুষ। যারা সুস্থ আছেন এবং কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা নেই তাদের এখন কাজে ফেরা এবং ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাদেশিক সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে।
ফ্রান্সেও লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। সোমবার লকডাউন শিথিলের প্রথমদিনই লোকজনকে সিয়েনে নদীর তীরে সমবেত হতে দেখা গেছে। দোকানপাট খুলে দেওয়ায় প্যারিসে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এছাড়া স্পেনের কিছু অংশে কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হয়েছে। সেখানে দোকানপাট এবং রেস্টুরেন্ট পুনরায় চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়ও। ফলে লোকজন কাজে ফিরতে শুরু করেছে। শপিংমল, সেলুন এবং অন্যান্য দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে তুরস্ক।
সোমবার থেকে বেলজিয়ামেও অধিকাংশ দোকান খুলে দেওয়া হলেও রেস্টুরেন্ট, বার ও ক্যাফে বন্ধ থাকছে। সুইজারল্যান্ডে প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্কুল খুলছে। রেস্টুরেন্ট, বইয়ের দোকান ও জাদুঘরে প্রবেশ সংরক্ষিত করা হয়েছে। লকডাউন শিথিল করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যেও।
ব্রিটিশ সরকারও লকডাউন শিথিল করেছে। তবে গণপরিবহনে এখনই অনুমতি দেওয়া হয়নি। জার্মানিতেও লকডাউন শিথিল হয়েছে। সেখানে সব ধরনের দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে। স্কুলে যেতে শুরু করেছে দেশটির শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে, করোনার সংক্রমণ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকলেও লকডাউনের বিধি-নিষেধ শিথিল করে অর্থনীতির চাকা সচল করছে পাকিস্তান। দেশটিতে লকডাউন শিথিল করে শনিবার বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ