কোনোভাবেই যেন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না হবিগঞ্জ শহরের যানজট। দিন দিন যানজটে নাকাল হয়ে পড়ছে হবিগঞ্জ শহরবাসী। দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, অদক্ষ চালক ও অনুমোদনহীন টমটম-অটোরিকশাই যানজটের কারণ বলছে সাধারণ মানুষ। যানজটের কবলে পড়ে অনেকের ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত যানজট নিরসনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, হবিগঞ্জ পৌর এলাকায় চলাচলের জন্য মাত্র ১২০০ টমটম-অটোরিকশার অনুমোদন দেওয়া হলেও প্রতিদিন চলাচল করছে দ্বিগুণের বেশি। টমটম-অটোরিকশা চালকদের মধ্যে অনেকেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। আবার কারও কারও নেই অনুমোদন। সড়কের যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানামা করানো হচ্ছে। ফলে শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে প্রতিনিয়ত দেখা যায় যানজট। অভিযোগ রয়েছে- খোদ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ম্যানেজ করেই প্রতিনিয়ত এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। শহরের চৌধুরী বাজার ট্রাফিক পয়েন্ট, বগলা বাজার, সওদাগর জামে মসজিদ পয়েন্ট, বাইপাস সড়কের বৃন্দাবন কলেজ রোড মোড়, ঘাটিয়া বাজার, বেবিস্ট্যান্ড মোড়, অনামিকা কমিউনিটি সেন্টার মোড় ও শায়েস্তানগরসহ বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায় যানজটের ভয়াবহ চিত্র। একেকটা পয়েন্ট পার হতে যেখানে ৫-১০ মিনিট লাগার কথা সেখানে লাগছে ৩০-৪৫ মিনিট।
কলেজ শিক্ষার্থী শুভ আহমেদ বলেন- আগে শহরের চৌধুরী বাজার থেকে বৃন্দাবন কলেজে যেতে ১০-১৫ মিনিট লাগত। এখন প্রায় এক ঘণ্টা লেগে যায়। মূলত চৌধুরী বাজার পয়েন্ট, ঘাটিয়া বাজার ও অনামিকা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে বেশি যানজট হয়। তিনি বলেন- চৌধুরী বাজার পয়েন্ট ট্রাফিক সদস্য মোতায়েন থাকলেও অন্য পয়েন্ট তাদের তেমন দেখা যায় না। ব্যবসায়ী আরিফ আহমেদ বলেন, শহরের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র হলো বগলা বাজার। সেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মালামাল আসে। ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো ট্রাফিক সদস্য। বগলা বাজার সড়ক হয়ে আসা যাত্রীদের অসহনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়। অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলন জানান, হবিগঞ্জ শহরে যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান বলেন, শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও ভালো করতে ট্রাফিক সদস্যদের নিয়ে আমরা কাজ করছি।