সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ, ছোট-বড় গর্ত। যানবহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে সড়কটি। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ দুরবস্থা ডোমার চামার পাড়া থেকে পাঙ্গা চৌপথী পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কের। সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দ, গর্তে পানি জমে যায়। ছোট যানবহন খানাখন্দে পড়ে উল্টে যায়। গাড়ি নষ্ট হয়। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় হাজার হাজার যাত্রীর, পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের। সরেজমিন দেখা যায়, পুরো সড়কেই খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায় ধুলোবালি জমে কাদা হয়েছে। এর মধ্যেই চলছে বিভিন্ন যানবাহন। গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। ওই সড়ক দিয়ে হাঁটারও কোনো উপায় নেই। স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়ক সংস্কারের দাবি জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চলাচলের অনুপযোগী এ সড়কে যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ভোগে পড়ে এ পথের যাত্রী ও চালকরা।
ওই এলাকার বাসিন্দা আল আমিন বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা। খানাখন্দে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন ডোমার-ডিমলা উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। সড়ক সংস্কার না করায় এসব খানাখন্দ গাড়ির চাকার চাপে ভাঙতে ভাঙতে বড় হচ্ছে। পথচারী নুর কাদের বলেন, ভাঙা সড়কের কারণে মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যায় না। বর্ষার আগেই দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি তাদের। অটোরিকশাচালক সাদেক আনোয়ার বলেন, ‘এ সড়কে চলার অবস্থা নেই। খানাখন্দে পড়ে অটোরিকশা উল্টে যায়। রাস্তার মাঝেই গাড়ি নষ্ট হয়। সড়কের বড় বড় আধলা ইটগুলো ট্রাকের চাকায় ঢুকে যায়। বৃষ্টি হলেই বড় বড় গর্তে পানি জমে যায়। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
ইব্রাহিম মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ছবি তুলে কোনো লাভ নেই। অনেকেই শুধু শুধু ছবি তুলে নিয়ে যায়। রাস্তা মেরামত হয় না।
নীলফামারী ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফিরোজ আলম বলেন, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত সময়ে সড়কটি সংস্কার সম্ভব হবে।’