নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুন মামলায় উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাকে গতকাল ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি, নিহত তাজুল ইসলামের বাবা আবুল খায়ের, নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নূপুর প্রমুখ। বিউটি বলেন, আমার স্বামীসহ সাতজনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা সারা পৃথিবীর মানুষ দেখেছে। সবাই চায় এই বিচারের রায় দ্রুত সম্পন্ন হোক। এখনো রায় কেন ঝুলে আছে। আমাদের সাতটি পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই। আবুল খায়ের বলেন, ১১ বছর ধরে অপেক্ষা করতে করতে আজ আমরা ক্লান্ত।
প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং প্রধান বিচারপতির কাছে আমাদের আবেদন এ অপেক্ষা থেকে রেহাই দিন। সাত খুনে যে রায় হয়েছে তা দ্রুত কার্যকর করুন। আমরা যাতে একটু শান্তি পাই। সাত খুনের মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি ৩৫ আসামির মধ্যে ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। উচ্চ আদালতে আসামিপক্ষ আপিল করলে ২০১৮ সালে ২২ আগস্ট ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ১১ জনকে যাবজ্জীবন এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকার, নজরুল ইসলামের বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটন, সহযোগী মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান স্বপনের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও আইনজীবী চন্দন সরকারের গাড়িচালক ইব্রাহিমকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের লাশ। এ ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার থানায় দুটি মামলা করেন।