কুড়িগ্রামের চিলমারীর প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে পানির নিচে। মাসের পর মাস জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। এক দিন সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে চিলমারী-কাশিমবাজার সড়কে। থাকে কয়েকদিন।
প্রতিদিন হাজার হাজার লোক যাতায়াত করেন এ সড়কে। দুর্ভোগ সঙ্গী করেই চলাচল করতে হয় তাদের। বেশি ভোগান্তির শিকার হন রোগী ও স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় বিভাগে একাধিকবার আবেদন করেও সুফল মেলেনি দাবি এলাকাবাসীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিলমারী উপজেলা সদর থানাহাট বাজার ও কাশিমবাজার সবুজপাড়ার প্রধান সড়কটির দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে সবুজপাড়া এলাকায় পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। তখন চলাচলে কষ্টের শেষ থাকেনা স্থানীয় বাসিন্দাদের। কেউ কেউ বলছেন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বৃষ্টির পানি উপচে এমন অচলাবস্থা হয়। ভোগান্তি পোহান অর্ধ লাখ মানুষ। সড়কটি দিয়ে গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রি কলেজ, সিনিয়র আলিম মাদরাসা, শাখাহাতি ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। জলাবদ্ধতার কারণে সৃষ্ট গর্তে প্রায়ই আটকে যাচ্ছে গাড়ির চাকা। অনেক সময় যানবাহন উল্টে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। স্কুলশিক্ষার্থী মহসিনা জানায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই সবুজপাড়া সড়কে পানি জমে যায়। আমাদের চলাচল করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। সড়কে জমে থাকা পানিতে কাপড় চোপড় ভিজে অনেক সময় স্কুলে যাওয়া হয় না। গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবদুর রহমান জানান, একদিন বৃষ্টি হলেই সবুজপাড়া মোড় থেকে দুই পাশের সড়কে যেভাবে পানি জমে তাতে হাঁটাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থাকে বেশ কয়েকদিন। সড়কটি দ্রুত সংস্কার কিংবা উঁচু করা দরকার। অটোরিকশা চালক মানিক মিয়া জানান, পানি জমে থাকায় সড়কের বেশকিছু স্থানে হয়েছে ছোটবড় গর্ত। পানি জমলে গাড়ি চালানোয় খুবই সমস্যা হয়। ইউএনও সবুজ কুমার বসাক জানান, এখানে প্রধান সমস্যা ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সড়কের বেহাল অবস্থা নিয়ে প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে। স্থায়ী সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।