ইয়াবা কারবারীদের ধ্বংস অনিবার্য। সময় থাকতে রাষ্ট্রের কাছে আত্মসর্পণ করুন। ইতিপূর্বে যারা আত্নসমর্পণ করেছে তারা অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। যারা ছদ্মবেশে আছেন তাদের তালিকা করা হয়েছে। সুপথে ফিরে না আসলে মাদক কারবারীদের ধ্বংস অনিবার্য। আজ হোক বা কাল তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক মুক্ত টেকনাফ গড়তে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে ইয়াবার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যারা অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছে তাদের ঘৃণা এবং বয়কট করুন। পুলিশের পক্ষে ইয়াবা বন্ধ করা সম্ভব নয়, তাই সামাজিক আন্দোলন গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে টেকনাফের হৃীলা বাসষ্টেশনে মাদক, জঙ্গি, দূর্ণীতি ও সন্ত্রাস বিরোধী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবি এম মাসুদ হোসেন বিপিএম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশের কাছে দোষ শিকার করুন, না হয় ভাল হয়ে যান, মাদক প্রতিরোধে অংশ নিন। তবে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকলে পরিনাম হবে ভয়াবহ।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে যেসব ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মর্সমপন করেছেন তারা অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম ও তালিকা দিয়েছেন। কেউ রেহাই পাবেন না। কিছু মাদক ব্যবসায়ীর কারণে পুরো টেকনাফের বদনাম হতে পারে না। এ পর্যন্ত পুরো জেলায় ৫৫ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। তার মধ্যে ৫২ জনই টেকনাফের।
এবি এম মাসুদ হোসেন বলেন, যে এলাকায় মাদক পাওয়া যাবে, সেখানকার চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মাতাব্বরকে মামলায় আওতায় আনা হবে। মাদকের ব্যাপারে এরা আগে পুলিশকে জানাতে হবে। না হয় তারাও রেহায় পাবে না।
কোন অবস্থাতে তাদের ছাঁড় দেওয়া হবে না। ইয়াবার বদনাম যে কোন উপায়ে দূর হবে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মোঃ আলী, টেকনাফ মডেল থানার পরির্দশক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা, উপজেলা ওলামালীগ সভাপতি মৌলনা কারী ফরিদুল আলম, হৃীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম। সভা পরিচালনা করেন সাংবাদিক মোঃ হেলাল উদ্দীন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ