বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী বিউটি বেগমের গাড়িতে হামপ্লার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলা চালিয়ে গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শিবগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই অভিযোগে তিনি থানায় মামলাও দায়ের করেছেন। মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী বিউটি বেগম জানান, শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারণা শেষে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১০টার দিকে পাইলট হাইস্কুল এলাকায় ওষুধ কেনার জন্য তিনি গাড়ি থামান। এ সময় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতা তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। তাৎক্ষনিক তিনি থানায় ফোন করলে পুলিশ আসার আগেই তারা পালিয়ে যায়।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, বিউটি বেগমের গাড়িতে হামলার খবর পেয়েই পুলিশ সেখানে পৌঁছে তাকেসহ গাড়িটি থানায় নেওয়া হয়। তার গাড়ির চালক হামলাকারিদের চিনতে পেরেছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খালিদ হাসান আরমান, মাহাদী হাসান তমাল, মীর মুন ও রায়হানুল হক রনির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালিদ হাসান আরমান থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং মাহাদী হাসান তমাল ও মীর মুন যুগ্ম আহ্বায়ক এবং রায়হানুল হক রনি থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ হাসান আরমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেসময় ঘটনার কথা বলা হচ্ছে তখন তিনিসহ অন্যরা বগুড়া শহরে অবস্থান করছিলেন। তারা এলাকায় ছিলেন না বলে তিনি জানান। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর