আইনগত জটিলতার কারণে কিছুটা ধীরগতিতে চলছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ কমিশনের কাজ বলে মন্তব্য করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক। তিনি বলেছেন, বিধিমালা প্রণোদিত হয়ে গেলে খুব দ্রুত শুনানির কাজ শুরু করা যাবে। তিন পার্বত্য জেলায় ভূমি বিরোধ বিষয়ে আবেদন কমিশনে এখনো জমা পড়ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া থাকবে। এখন পর্যন্ত কমিশনের কাছে আবেদন জমা পরেছে ২২ হাজার ৮৯টি। আপাতত অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের মধ্য থেকে ১০০টি আবেদনের উপর আলোচনা চলছে।
বৃহষ্পতিবার বেলা ২টায় রাঙামাটি সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে ৫ম বৈঠক শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক এসব কথা বলেন।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সচিব মো. আলী মনছুর, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়াম্যান কংজেরী চৌধুরী, বান্দারবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্ণা, রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চীফ সাচিং প্রু চৌধুরী, বান্দরবান বোমং সার্কেল চীফ উ চ প্রু চৌধূরী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধি গোতম কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পতি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বিধিমালার কাজ শেষ হলে কমিশনের কাজও আগ্রশীল হবে। একই সাথে কমিশনের কার্যালয়ের জন্য জনবল নিয়োগ করা যাবে। জনবল সংকটের কারণে রাঙামাটিতে এখনো কমিশনের অস্থায়ী অফিসও চালু করা যায়নি। আগামী ৯ অক্টোবর কমিশনের ৬ষ্ঠ বৈঠকে এবিষয়ে আবারও আলোচনা হবে।
এসময় রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেছেন, আগের চেয়ে কমিশনের সদস্যদের মধ্যে সর্ম্পক আরও উন্নত হয়েছে। তাই আলোচনাও অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বিধিমালাটা হয়ে গেলে কমিশন শুনানির কাজও শুরু করতে পারবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আহবান জানাই- পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রস্তাবনার আলোকে যাতে বিধিমালা প্রণয়ণ করে সরকার।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার