দিনাজপুরে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষি। প্রযুক্তিগত সহায়তায় বেশি লাভবান হচ্ছেন এলাকার উদ্যমী কৃষকরা। ফলে দিন বদল হচ্ছে কৃষকদের, গতি সঞ্চার হচ্ছে কৃষি অর্থনীতির। কৃষিক্ষেত্রে যোগ হওয়া এমনই এক প্রযুক্তি আদর্শ (কমিউনিটি) বীজতলা। শ্রম, স্থান, সেচ খরচও কম লাগে এবং ভালো মানের চারা পেতে কৃষকরা ঝুঁকেছে আদর্শ বীজতলা তৈরীতে। তাই শীত ও কুয়াশাকে উপেক্ষা করে জেলার বীরগঞ্জ ও চিরিরবন্দরে বীজতলা তৈরী ও চাষে কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আদর্শ বীজতলা তৈরীতে ধান উৎপাদন খরচ ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ কমে গেছে।এরই ধারাবাহিকতায় এই দুই উপজেলায় ইরি-বোরো ধান রোপণে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আদর্শ (কমিউনিটি) বীজতলা। এখন শীতের কবল হতে রক্ষা করতে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে।
বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, বীরগঞ্জ উপজেলায় বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৪৬১০ হেক্টর। এর বিপরীতে বীজতলা বাস্তবায়িত হয়েছে ৭৫০ হেক্টর, যার মধ্যে আদর্শ বীজতলা ৬০০ হেক্টর। শীতের কবল হতে রক্ষা করতে ২৬৬ হেক্টর বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
উত্তর নশরতপুর গ্রামের সুসেন চন্দ্র রায় জানান, সনাতন পদ্ধতির চেয়ে আদর্শ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরিতে শ্রম, স্থান, সেচ খরচও কম লাগে এবং ভালো মানের চারাও পাওয়া যায়। তাই ফলনও ভালো পাওয়া যায়।
বীরগঞ্জের কৃষক রহিজ উদ্দিন বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে যে জায়গায় ৫০ কেজি বীজ লাগত, সেখানে কমিউনিটি পদ্ধতিতে ৩৫ কেজি বীজ লাগে। তাতে বীজতলা তৈরী থেকে অন্যান্য সব মিলে এক হাজার ২০০ টাকা খরচ কম হয়েছে। অথচ আগে ৫০ কেজি বীজ এর চারা দিয়ে ২.৫ একর জমি রোপন করা যেতো। আর কমিউনিটি বীজতলার ৩৫ কেজি বীজের চারা দিয়েও ওই জমিটুকু রোপণ করা সম্ভব।
বীরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানান, আদর্শ বীজতলায় স্বল্প খরচে সুস্থ-সবল চারা উৎপাদন ও কোল্ড ইনজুরির ঝুঁকি কম থাকে। উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে আদর্শ বীজতলা তৈরিতে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা