জলবায়ু পরিবর্তনের নির্মম শিকার বাংলাদেশ। বৈশ্বিক উষ্ণতা, খরা, অতিবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ইত্যাদি জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তনের প্রধান লক্ষণ। এসব সমস্যার প্রভাব মানুষের জীবন, প্রকৃতি ও পরিবেশে পড়ছে ব্যাপকভাবে। এই সংকট মোকাবেলায় অন্যতম কার্যকর উপায় হচ্ছে বৃক্ষরোপণ।
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী খিরাটী গ্রামে বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগারের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) পাঠাগার সংলগ্ন চর খিরাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা পাঠাগারের চারপাশে, বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা, রাস্তার দুই পাশসহ বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ফলদ, বনজ, ঔষুধি ও সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছের চারা রোপণ করা হয়।
বসুন্ধরা শুভসংঘ কাপাসিয়া উপজেলার আহ্বায়ক আশিকুল ইসলাম আশিকের নেতৃত্বে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চর খিরাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাহিমা খাতুন, মনোহরদী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান, সৈয়দ মতিন ও ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ নাসির, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পাঠাগারের সমন্বয়ক সৈয়দ আল মাসুদ, ডাক্তার আশিক, সামিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফরিদ মাস্টার, সিমন আহমেদ ফাহাদ।
আরও উপস্থিত ছিলেন নাইম ইসলাম, মেহেদী ইসলাম, মন্জিল শেখ, শুভ নাইম, চরখিরাটী ইউথ ক্লাবের সদস্য মো. শাখাওয়াত হোসেন, মো. আপেল মাহমুদ, মো. রিটন মিয়া, মো. বিল্লাল হোসেন, ইমরান ফকির প্রমুখ।
বসুন্ধরা শুভসংঘ কাপাসিয়া উপজেলার আহ্বায়ক আশিকুল ইসলাম আশিক বলেন,জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এই ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে মুক্তি পেতে হলে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বৃক্ষরোপণ শুধু পরিবেশ রক্ষায় নয়, টেকসই উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপদ জীবনের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
তিনি আরও বলেন, “একটি গাছ একটি প্রাণ, গাছ বাঁচলে বাঁচবে প্রাণ” -এই চেতনাকে ধারণ করে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বৃক্ষরোপণে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ