পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মুসলিমদের কেবলমাত্র ভোটব্যাংক হিসেবে দেখেন। এর বাইরে অন্য কিছু নয়। মুসলিম সমাজের অধিকারের বিষয় এলেই তিনি পিছু হটেন। এ দাবি করেছেন ভারতের সাবেক রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার দেশটির বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাবেক কংগ্রেস সংসদ সদস্য বলেন, ‘গোটা রাজ্যে বিধায়কের সংখ্যার দিকে তাকালে দেখা যাবে, রাজ্যে মুসলিম বিধায়কের সংখ্যা কমছে। এমনকি মমতার মন্ত্রিসভাতেও গুরুত্বপূর্ণ কোনো মুসলিম সদস্য নেই। রাজ্যে ক্রমবর্ধমান মুসলিম সমাজকে বিজেপির ভয় দেখিয়ে মমতা ব্যানার্জি ক্রমশ মহিরুহ হয়ে উঠছে এবং তাদের কাছ থেকে ভোট নিচ্ছেন। এর ফলে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস উভয়েরই লাভ হচ্ছে। এ দুটি রাজনৈতিক দল যেভাবে এ ইস্যুতে খেলা করছে, তার ফল আমরা গোটা রাজ্যে দেখতে পাচ্ছি।’
অধীর রঞ্জনের অভিযোগ, নির্বাচনের আগে মমতা ব্যানার্জি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, প্রায় ১০ হাজার নতুন মাদরাসা তৈরি হবে। কিন্তু সেখানে বর্তমানে মাদরাসার সংখ্যা ১৩৮টি।
সর্বোপরি এ মাদরাসাগুলোর অবকাঠামো অত্যন্ত নিম্নমানের। মাদরাসাগুলোতে শিক্ষক নেই, ঠিকমতো বেতন পাচ্ছে না। তার ওপরে সেই মাদরাসার সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমছে। বিজেপির নাম করে মুসলমানদের ভয় দেখানো, তাদের দাবিয়ে রাখার ক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জির কোনো জুড়ি নেই। নাটক করার ক্ষেত্রেও মমতার কোনো জুড়ি নেই। মুসলমানদের ভয় দেখানোর জন্য মমতা ব্যানার্জি সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।