করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে রোগী ও রোগীর স্বজনরা আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে। অন্যদিকে চিকিৎসা সেবা প্রদানেও নার্সরা কাজে অনীহা প্রকাশ করছেন।
আর জেলার সিভিল সার্জন বলছেন, জিনিসপত্রের সংকট থাকায় প্রতিনিয়ত চিঠি দেওয়া হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা সরবরাহ কম পাওয়ায় যাচ্ছে। ফলে চিকিৎসা সেবায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। জেলার ১শ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে রোগী ভর্তি থাকছে ৩/৪ জন। এদের মধ্যে জ¦র, সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশিরভাগ রোগীই ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।
অন্যদিকে জেলার পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, হরিপুর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও একই পরিস্থিতিতে চলছে। ফলে করোনা আতঙ্কে দিন কাটছে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের। সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ না করা হলে করোনা মোকাবেলায় ভয়াবহ পরিস্থিতি রূপ নিবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালসহ জেলার প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হ্যান্ড সেনিটাইজার, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভসসহ করোনা প্রতিরোধক জিনিসপত্রের তীব্র সংকট রয়েছে। আমরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যে পরিমাণে চেয়েছি তার অর্ধেকও দেওয়া হচ্ছে না। আর সেকারণেই সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালগুলোতে জিনিসপত্রের সংকট থাকলে নার্সরা কাজ করবে কিভাবে?
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহফুজার রহমান জানান, আমরা সরঞ্জাম সংকটের কথা উল্লেখ করে নিয়মিত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। রোগীদের সেবা প্রদানে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বার বার মিটিং করছি। এখনো পর্যন্ত এ জেলায় করোনাভাইরাসের কোনো রোগী নেই। তবে ১৭৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন