টাঙ্গাইলের নাগরপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার ঘোষণার পরও মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছেনা। উপজেলার হাট বাজার ও টং দোকানে এখনো মানুষকে আড্ডা আর গল্প গুজবে মেতে উঠতে দেখা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সচেতন করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে। অপ্রয়োজনীয় দোকান পাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাইরে হাঁটাহাটি ও আড্ডারত মানুষকে ঘরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
জনসাধারণের চলাচল সীমিত করে স্বেচ্ছা কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু বুধবার এ উপজেলায় উল্টো চিত্র দেখা যায়। প্রশাসনের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার, রাস্তা ঘাট, সিএনজিতে মানুষের অবাধ বিচরণ দেখা গেছে।
দেখে মনে হয়েছে করোনাভাইরাস নিয়ে তাদের মনে কোনো উদ্বেগ নেই। মাস্ক না পরে উঠতি বয়সের ছেলেদের বাজারে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কিশোর জানায়, কলেজ বন্ধ বাড়িতে কর্মহীনভাবে আর কতক্ষণ বসে থাকবো, তাই বাইরে বের হয়েছি। মামুদনগর থেকে আসা পঞ্চাশর্ধো এক ব্যক্তি জানান, আমি এ ভাইরাস সম্পর্কে এত কিছু জানি না, কাজের প্রয়োজনে বাজারে এসেছি।
এদিকে সরকারি নির্দেশনা মেনে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকলেও ফল, পান, সিগারেটের দোকান ও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গোপনে তাদের দোকান খোলা রাখলে সেখানে মানুষ ভিড় করছে।
মানুষের এ অযাচিত ভিড় এড়াতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সচেতন মহল। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, মানুষকে সচেতন করে ঘরে রাখতে প্রশাসনের তরফ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশাসনের প্রতিটি কর্মকর্তা মাঠে নেমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি এবং তাদের ঘরে থাকার আহবান জানাচ্ছি। এরপরও যদি তারা ঘরে না থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন