বগুড়ায় করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বুধবার সকাল থেকে বগুড়া শহর ও সকল উপজেলায় এ প্রচারণা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কার্যক্রমে সেনা সদস্যরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেন।
এদিকে জেলা পুলিশ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে নেওয়া হয়েছে সচেতনমূলক কর্মসূচি। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শহরের সাতমাথা দিয়ে গাড়িতে করে টহলের সময় দেখা গেছে হ্যান্ড মাইকে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক প্রচারণা করছেন সেনা সদস্যরা।
এদিকে বুধবার বগুড়া পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন করোনা রোধে স্যানিটাইজার, সাবান, মাস্ক, হ্যান্ড গøাভস বিতরণসহ যানবাহনে স্প্রে করা হয়েছে। পৌরসভার আয়োজনে শহরে জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়েছে।
বেলা ৩টায় পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা শহরের সাতমাথায় জলকামান ব্যবহার করে শহর জীবাণুমুক্ত করার অভিযান উদ্বোধন করেন। শহর ছাড়াও সব উপজেলায় এ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী।
এর আগে সকালে পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে সকল থানার অফিসার ওসিদের কাছে পুলিশ সদস্যদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করেন বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল মেশিনারি মার্চেন্ট এসোসিয়েশন বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য সাবান, হ্যান্ড গøাভস ও মাস্ক বিতরণ করেন সংগঠনের সভাপতি শেখ ও সাধারণ সম্পাদক রাজেদুর রহমান রাজু।
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে বুধবার সকালে শহরের প্রবেশদ্বার বনানীতে বিভিন্ন যানবাহনে জীবাণুনাশক স্প্রে করেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস।
শহরের পথচারীদের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছেন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ আলম পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক হৃদয়, ছাত্রনেতা কাওছার আহম্মেদ জয়।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান মঙ্গলবার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে পথচারী ও রিক্সাচালকদের মাঝে হাত ধোয়ার সাবান বিতরণ করেছেন। বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজাসহ অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ জানান, সেনা সদস্যরা প্রচারণামূলক কাজ শুরু করেছেন। শহরসহ গোটা জেলায় প্রচারণা অব্যাহত থাকবে। তিনি কোথাও কোনো জনসমাগমের মত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন।
যারা বিদেশফেরত তাদের আত্মগোপন সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য প্রদানের জন্য জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদের জেলা প্রশাসন ও সেনা সদস্যদের সহায়তা করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন গাওসুল আযিম চৌধুরী জানান, বগুড়ায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৬৬৬। এর মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭৮ জন। কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৮৮ জন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন