করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশের কঠোর অবস্থানে রাজবাড়ীর রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়েছে। বুধবার লকডাউনের প্রথম দিন ভোর থেকে রাজবাড়ী জেলা শহরসহ উপজেলা শহরগুলোর প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের। ফলে রাজবাড়ীর বিভিন্ন রাস্তা জনশূন্য রয়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও ফার্মেসী ছাড়া বাকি সবধরনের ব্যবসায় প্রতিস্ঠান বন্ধ রয়েছে।
রাজবাড়ীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে যারা মোটরসাইকেল অথবা ভ্যানে বের হচ্ছেন তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন। ঘর থেকে বাইরে আসার কারণ জানতে চাচ্ছে পুলিশ। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হলেই যানবাহন থেকে নামিয়ে ঘরে ফিরিয়ে দিচ্ছেন এবং সংশ্লিষ্ট যানবাহনের বিরুদ্ধেও আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
সকালে রাজবাড়ীর পৌরসভার এলাকার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের দায়িত্ব পালন তদারকি করেছেন রাজবাড়ীর পুুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান। এ সময় তিনি জেলা পুলিশ সদস্যদের কঠোর লকডাউন পালনকালে দায়িত্বশীল পুলিশ সদস্যদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
বালিয়াকান্দিতে তাপস বিশ্বাস বলেন, আমি সকাল ১১টার দিকে ব্যাটারিচালিত ভ্যানযোগে বহরপুর থেকে বালিয়াকান্দির উদ্দেশ্যে রওনা হই। বালিয়াকান্দি বাসস্ট্রান্ড এলাকায় পৌঁছালেই পুলিশি বাঁধার মুখে পড়ি। পরে মেডিকেল প্রেসক্রিপশন দেখানোর পরে আমাকে ছেড়ে দেয়।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউন পালনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং পুুলিশ মহাপরিদর্শকের নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক রাজবাড়ী জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের প্রতিটি সদস্যের মতো আমিও মাঠে রয়েছি। তবে প্রথমদিন মনে হয়েছে রাজবাড়ীতে লকডাউন সফলভাবে পালিত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন