ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের বড়ুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, বড়ুরিয়া গ্রামের জামে মসজিদটি গড়াই নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে ভেঙে যায়। পরে গ্রামবাসী অন্যত্র মসজিদ নিমার্ণের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক বড়ুরিয়া গ্রামের খন্দকার রায়হান কবীর পলাশ ও রেহেনা খাতুনের দানকৃত জমিতে মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।
এদিকে হঠাৎ করেই দানকৃত এই জমির মালিকানা দাবি করে একই গ্রামের তমাল নামের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন যাবৎ জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার ভোরে তমাল গ্রুপের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে আলাউদ্দিন, নজরুল, শরিফুল, আল্লেক, সোহান, জামাল ও গোলাম মোস্তফাসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে নজরুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
জমিদানকারী খন্দকার পলাশ জানান, তিনি মসজিদের জন্য ৬ শতক জমি স্বেচ্ছায় দান করেন। কিন্তু মসজিদ নির্মাণে আরো জমির প্রয়োজন হলে তার চাচি রেহেনা খাতুন দুই শতক জমি দান করেন। সব মিলিয়ে মোট ৮ শতক জমি তারা মসজিদে দান করেন। দানকৃত জমিতে মসজিদ নির্মাণ কাজ চলছিল। এমতাবস্থায় মসজিদের জায়গা নির্ধারণ ও সীমানা জটিলতার অজুহাতে কমিটির মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। যা সামাজিক কোন্দলে পরিণত হয়ে দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পরে অপর গ্রুপ মাত্র ২০০ গজের ব্যবধানে আরেকটি মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়।
অভিযুক্ত তমাল জানান, পলাশের দানকৃত জমিতে মসজিদ নির্মাণে কোনো বাধা নেই। কিন্তু রেহানা খাতুন যে দুই শতক জমি দান করেছে তার মালিক আমরা। আমাদের জমি দখল নিয়ে জোরপূর্বক মসজিদ নির্মাণ করায় আমি বাধা দিয়েছি। আমাদের জমিতে যে দুটি পিলার পড়েছিল, শুধুমাত্র সে পিলার দুটিই তুলে দেওয়া হয়েছে। আর আমরা পাশেই আরেকটি মসজিদ নির্মাণ করছি।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলার বড়ুরিয়া গ্রামে পাশাপাশি দুটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই