১৫ জুন, ২০২১ ১৯:৫৭

পাবনায় সেই আওয়ামী লীগ নেতাদের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনায় সেই আওয়ামী লীগ নেতাদের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ

পাবনায় গণপূর্ত ভবনে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতারা অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেন। ছবি : সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া।

পাবনায় গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের মহড়ার ঘটনা তদন্তে অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এজন্য অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ। সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হওয়া নিয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষের লোকজন খোঁজ-খবর করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান জানান, পাবনা গণপূর্ত বিভাগে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রবেশের ঘটনা জানার পরই বিষয়টি তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশ। গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগ না করলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। ঠিকাদারদের প্রদর্শিত অস্ত্রও জব্দ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। আমরা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের প্রমাণ মেলায় প্রদর্শিত অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছি।

তিনি আরো বলেন, ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয় কেবল জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে। সরকারি দপ্তরটিতে জানমালের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা ছিল না। তাদের সাথে ২৫ থেকে ৩০ জন লোকও ছিল। অস্ত্রের মালিকরা সেখানে অস্ত্র বহনের যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারেননি।

পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, পুলিশি তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে গণপূর্ত ভবনে আসেন।

আগতরা বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন। তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে যান এবং কিছুক্ষণ পর তারা বের হয়ে যান। লিখিত অভিযোগ না থাকলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ঘটনা তদন্তে নামে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন হলে জেলা জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র গুলি জব্দ করে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর