উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আবারও লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় পটুয়াখালীর উপকূলে গত দুই দিন ধরে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। সাগরে ইলিশ ধরার শত শত জেলে ট্রলার মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর-ঢোস, মৌডুবসহ নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।
বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় সাগর ও নদীর পানি ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তলিয়ে গেছে জেলার অর্ধশত চরসহ নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও পুকুর। পায়রা বন্দরকে স্থানীয় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত ও নদী বন্দরকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাতে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে বিভিন্ন এলাকায় গাছ পরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ১০ ঘণ্টা ধরে বন্ধ থাকলেও বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় আবার স্বাভাবিক হয়। টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে অনেক নিচু এলাকা। এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় তলিয়ে গেছে মাছের ঘের। শহর এলাকার সড়কেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
জেলেরা জানান, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শত শত ট্রলার নিয়ে জেলেরা ইলিশ ধরার আশায় সমুদ্রে জাল ফেলেছিল। কিন্তু সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠায় তারা জাল তুলে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে। মাছ না ধরতে পেরে এখন ওইসব জেলেরা দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মাসুদ রানা বলেন, মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ২৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ বৃষ্টিপাত ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বলে আবহাওয়া অফিস নিশ্চিত করেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক একেএম মহিউদ্দিন জানান, পটুয়াখালীতে বর্তমানে আমন বিজতলা, রোপনকৃত আউশ ও সবজি খেত রয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় সবজির ক্ষতি হতে পারে। তবে মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকতাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তারা কাজ করছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত