বগুড়ার আদমদীঘি রহিম উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে রসায়ন বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে এনটিআরসিএ’র ভুয়া পুন: সুপারিশ পত্র ও স্বাক্ষর জাল করে ধরা পড়েছেন রাশেদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষক। ধরা খাওয়া শিক্ষক উপজেলা সদরে বিদ্যাবীথি মডেল স্কুলে চাকরি করেন এবং তিনি উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের ওসমান গনির ছেলে।
জানা যায়, গত ১২ আগস্ট আদমদীঘি রহিম উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে রসায়ন বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদানের জন্য রাশেদুল ইমলাম এনটিআরসিএ’র যুগ্ম সচিব এবিএম শওকত ইকবাল শাহীন স্বাক্ষরিত পুন: সুপারিশসহ আবেদনপত্র অধ্যক্ষ বরাবর দাখিল করেন।
কিন্তু সুপারিশপত্র সন্দেহ হলে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান গত ২৩ আগস্ট পত্রটি যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএ’র যুগ্ম সচিব এবিএম শওকত ইকবাল শাহীন বরাবর একটি পত্র পাঠান। ওই পত্রের সাথে রাশেদুল ইসলামের দাখিল করা পুন: সুপারিশ পত্র ও মোবাইল ফোনে পাঠানো ম্যাসেজের ফটোকপি প্রেরণ করেন।
পত্র পাওয়ার পর যুগ্মসচিব এবিএম শওকত ইকবাল শাহীন যাচাইবাছাই করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর আদমদীঘি রহিম উদ্দীন ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর পত্র প্রেরণ করেন। ওই পত্রে রাশেদুল ইসলামের প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য কোনো সুপারিশ পত্র ইস্যু করা হয়নি এবং পুন: সুপারিশ পত্রটি জাল ও ভুয়া বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া পুন: সুপারিশ পত্রটিতে তার স্বাক্ষর জাল বা স্ক্যানিং করে একটি ভুয়া সুপারিশপত্র তৈরি করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। সেই সাথে আরো জানানো হয়েছে, ওই প্রার্থীকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কোনো রকম এসএমএস দেয়নি। এমতাবস্থায় রাশেদুল ইসলাম জালিয়াতির মাধ্যমে জাল ও ভুয়া সুপারিশপত্র তৈরি করে কলেজে নিয়োগ নেওয়ার জন্য আবেদন করায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করার জন্য অধ্যক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন।
চাকরি প্রত্যাশি রাশেদুল ইসলাম জানান, তিনি ডাকঘরের মাধ্যমে ওই পুন: সুপারিশ পত্রটি পাওয়ার পর কলেজে আবেদন করেন। সেটি ভুয়া কিনা তার জানা নেই।
আদমদীঘি রহিম উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান জানান, কলেজ গভর্নিং বডির সভায় আলোচনা সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই