২২ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:৪০

রাঙামাটিতে শুরু কঠিন চীবর দানোৎসব

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে শুরু কঠিন চীবর দানোৎসব

রাঙামাটিতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান। শহরের আসামবস্তী বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারে আজ শুক্রবার দুপুরে বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন চট্টগ্রামের পাঁচখাইন শান্তি নিকুঞ্জ বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ ড. প্রিয়দর্শী মহাথের। 

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের রাঙামাটি পৌর শাখার সভাপতি ভদন্ত ধর্মকৃর্তি মহাথেরোর, বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার ও রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে বিহার চত্বরে ঢল নামে পূণ্যার্থীদের। চীবর হাতে সাধু সাধু সাধু ধ্বনি তুলে যোগ দেয় দানোৎসবে। সাথে নিয়ে আসে হরেক রঙে সাজানো কল্পতরু। পঞ্চশীল প্রার্থনার পর শুরু হয় ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠান। পূর্ণ্যার্থী ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বড়ুয়ারা, বিভিন্ন বিহার থেকে আগত ভিক্ষু ভান্তেদের চীবর উৎসর্গ করেন। এছাড়াও কল্পতরু অর্থাৎ বিশেষ গাছও দান করা হয়।

জানা গেছে, করোনা মহামারি কারণে এবার রাঙামাটি রাজবন বিহারে তৈরি করা হবেনা কঠিন চীবর। শুধুমাত্র বাজারে তৈরি করা অর্থাৎ আগে থেকে বানানো রঙ কাপড় দান করা হবে ভিক্ষু ও ভান্তেদের। একটি সময় তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে শুধুমাত্র রাঙামাটি রাজবন বিহারে বিশাল আকারে বেইন বুনে অর্থাৎ কোমর তাঁতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে চীবর তৈরি করা হতো। এ কাজটি বেশ কঠিন বলে। এটাকে কঠিন চীবর দান বলা হতো। 

কিন্তু এবার আয়োজন ঠিক থাকলেও বাদ দেওয়া হয়েছে চীবর তৈরি কাজ। পূন্যার্থীদের সংক্রোমণ রোধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান রাঙামাটি রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান। 

অন্যদিকে, শুধু রাঙামাটি নয়, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারেও শুরু হয়েছে মাসব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব। এর মধ্যে দিয়ে পার্বত্যাঞ্চলে নেমেছ উৎসবের ঢল। আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছে পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা। বসানো হবে মেলা, নাচ ও গানের আসর। 

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর