রাজবাড়ীতে গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া পরিস্থির চরম অবনতি ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ীতে নতুন করে ৭৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫০ জন রোগী রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে, গাছতলায়, ময়লার ড্রেনের পাশে ভর্তি থেকে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কি কারণে হঠাৎ করেই রাজবাড়ীতে ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি সেটি জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করে রাজবাড়ী স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ১২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার সেই প্রতিবেদন বাংলাদেশ প্রতিদিনের হাতে এসে পৌঁছায়। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে রাজবাড়ীতে ডায়রিয়া পরিস্থিতির বিপর্যয়ের মূল কারণ। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ রোগী সরবরাহকৃত পানি পান করে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ রোগী পৌরসভা এলাকার বিনোদপুর, ধুঞ্চি ও লক্ষীকোল এলাকার। তবে কোন পানিতে এমন বিপর্যয় ঘটেছে সেটি জানা জায়নি।
এ ব্যাপারে জেলার সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেকোন ধরনের সরবরাহকৃত পানিতে এমন বিপর্যয় ঘটতে পারে। পৌরসভার সরবরাহকৃত পানির পাশাপাশি ব্যক্তিগত ট্যাংকের পানি পানে এমনটি হয়েছে এটি নিশ্চিত। এছাড়া তেল জাতীয় খাবার, অতিরিক্ত গরম, খোলা খাবারে রাজবাড়ীতে ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
কোন পানিতে ডায়রিয়া পরিস্থির অবনিত সেটা জানতে তদন্ত কামটির সদস্য ও রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সিভিল সার্জন বলেন, ডায়রিয়া পরিস্থিতি উন্নতি করতে হলে অবশ্যই সবাইকে পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে। এর বিকল্প কোনো পথ নেই। বিশেষ করে পৌরসভার পানি অবশ্যই ফুটিয়ে খেতে হবে। রাস্তার পাশে তৈরিকৃত খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ শুরু করবো। এছাড়া পানি পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আমরা হাতে পেয়েছি। আমরা সচেতনতার জন্য প্রচার প্রচারণা শুরু করেছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল