ঈদুল ফিতর আসন্ন। এরই মাঝে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শেষ মুহূর্তে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পরিদর্শন করেছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান। ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট এলাকা পরিদর্শন শেষে শেষ মুহূর্তের পরিকল্পনার কথা বলেছেন। ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দুই’শ পুলিশ সদস্য কাজ করবেন। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত তিনি ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের পর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন রেঞ্জ পুলিশ থেকে আসা দুই শত পুলিশ সদস্য যাত্রী ও যানবাহন চালকদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। দৌলতদিয়া এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।
তিনি বলেন, আমার কথা পরিষ্কার। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে বাঁধা সৃষ্টি করলে ঈদ কারাগারে কাটাতে হবে। বিভিন্ন জেলা থেকে যানবাহন সিরিয়ালে ঢাকা যাবে। তাদের কেউ ডিস্টার্ব করবেন না। দৌলতদিয়াতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যানবাহন আসবে। তাদের দিকে নজর দিবেন না। আপনি সহায়তার নামে চাঁদাবাজি করবেন, এটা কিন্তু পুলিশ সহ্য করবে না।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা। সেই সাথে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা। এবারে ফেরিঘাটের ঈদযাত্রা লাখো মানুষের শেষ ঈদযাত্রা। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হলে এই ভোগান্তি আর থাকবে না। শেষ ঈদযাত্রাটা স্বস্তির করতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে। তবে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি ও ফেরি চলাচল দ্রুত করলে আমাদের সবার সুনাম বৃদ্ধি পাবে। আমরা চাই সবাইকে নিয়ে সুন্দর একটি ঈদযাত্রা উপহার দিতে।
ফেরিঘাট পরিদর্শনের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাঈনউদ্দীন চৌধুরী, গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজমুদার, ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর তারক চন্দ্র পাল উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর