২৭ বছর বয়সী ভারতীয় সাংবাদিক কৌশিক স্বপ্ন ছিল রাজের যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে ডেটা জার্নালিজমে মাস্টার্স করতে তিনি পেয়েছিলেন এক লাখ মার্কিন ডলারের স্কলারশিপ। তবে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরও যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তার শিক্ষার্থী ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভিসার সাক্ষাৎকারসহ প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছিলেন কৌশিক রাজ। তবু, নয়াদিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস তার ভিসার আবেদন খারিজ করে।
রাজের ধারণা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু পোস্টের কারণেই তার ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। যদিও দূতাবাসের পাঠানো চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোনো নির্দিষ্ট বিষয় উল্লেখ করা হয়নি, সেখানে বলা হয়— জন্মস্থান ভারতের সঙ্গে যথেষ্ট সম্পর্ক রয়েছে, এমনটি প্রদর্শন করতে পারেননি রাজ, যা তাকে নির্দিষ্ট সময় পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজ দেশে ফিরতে ‘বাধ্য করবে’।
তবে, কৌশিক রাজ ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব বেশি সক্রিয় নই। এমনকি গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে মতপ্রকাশ থেকেও নিজেকে বিরত রেখেছি।
তার মতে, চার বছরের সাংবাদিকতা জীবনে তিনি বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধ নিয়ে কাজ করেছেন এবং সে সম্পর্কিত কিছু পোস্ট হয়তো মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
কৌশিকের কলাম্বিয়ায় সেমিস্টার শুরু হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের আগস্টে। কিন্তু তার কিছুদিন আগেই দূতাবাসের চিঠিতে জানানো হয়, তার আবেদন নাকচ করা হয়েছে।
এর আগে, গেল এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ও অন্যান্য ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কর্মকাণ্ড গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন কূটনীতিকদের নির্দেশ দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ধারণা করা হয়, মার্কিন ও ইসরায়েলি প্রশাসনের সমালোচকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নেয় ওয়াশিংটন।
তথ্যসূত্র : এনডিটিভি।
বিডি-প্রতিদিন/শআ