আশুলিয়ার বাইপাইলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। নরসিংদীর মাধবদীতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই নতুন এই কম্পন রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র। শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে রেকর্ড হওয়া কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৩।
ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবায়েত কবির জানিয়েছেন, আশুলিয়ায় অনুভূত এই কম্পনটি শুক্রবারের মাধবদীর ভূমিকম্পেরই আফটারশক। তাঁর ভাষায়, আফটারশক ১০–২০ কিলোমিটার দূরেও হতে পারে; এই কম্পনের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর পলাশেই।
এর মধ্যেই তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “গত ১০০ বছরে ঢাকায় এমন ভূমিকম্প হয়নি, যেটি গতকাল হয়েছে। আমরা বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।” শুক্রবার সকালে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে দুই শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। ঢাকায় চারজন, নরসিংদীতে পাঁচজন এবং নারায়ণগঞ্জে একজন প্রাণ হারান। আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল স্পষ্ট। সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে অনুভূত এই কম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। বাংলাদেশ ও ভারত—দুই দেশেই কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিয়ে বহুদিন ধরেই সতর্কতা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাগুলোকে তিনটি জোনে ভাগ করেছে—জোন–১ উচ্চ ঝুঁকি, জোন–২ মাঝারি ঝুঁকি, আর জোন–৩ তুলনামূলকভাবে নিম্ন ঝুঁকির এলাকা। তাদের প্রকাশিত মানচিত্রে দেখা যায়, দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকা জোন–১-এর আওতায়।
ফল্ট লাইনের কাছাকাছি অঞ্চলগুলোই সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকে। বিশেষ করে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের নয়টি জেলা, ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, গাজীপুর, নরসিংদীর কিছু অংশ, পুরো কিশোরগঞ্জ, কুমিল্লা বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকা উচ্চঝুঁকিপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত।
জোন–৩ এলাকাভুক্ত খুলনা, যশোর, বরিশাল ও পটুয়াখালীতে ভূমিকম্পের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম।
বিডি প্রতিদিন/আশিক