বলা চলে প্রতিদিনই ভূমিকম্পের সঙ্গে বাস করছে রংপুরসহ সারা দেশের মানুষ। কিন্তু ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে তেমন কোনো প্রস্তুতি নেই। সচেতন মহল বলছেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সর্বশেষ বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছিল ১২৮ বছর আগে ১৮৯৭ সালের ১২ জুন। সে সময় মানুষ মারা যান সাড়ে ৪ শর ওপর। রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সে সময় রিকটার স্কেল না থাকায় সঠিক মাপ জানা যায়নি। রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন ফায়ার সাভির্সগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফায়ার সার্ভিস অফিসগুলোতে দুর্যোগ মোকাবিলায় সামান্য কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে নগণ্য। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার সামর্থ্য কোনো ফায়ার স্টেশনের নেই। রংপুর জেলায় রয়েছে ৩০০ শতাধিক পুরাতন ভবন ও বাড়ি। এসব ভবনে দুর্যোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। অন্যদিকে নতুন অধিকাংশ ভবনই নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে বিশাল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ফায়ার স্টেশনগুলোর অভিযোগ, স্থানীয় সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো তেমন একটা সহায়তা দিচ্ছে না ফায়ার সার্ভিস অফিসগুলোকে। ভূমিকম্পসহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসব ভবন ধসে গিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা থাকলেও ভবন মালিকরা বিষয়টিতে তেমন একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দুর্যোগ মোকাবিলায় তেমন কোনো জনসচেতনতাও নেই এই অঞ্চলে। ভূমিকম্পের মাত্রা ৬/৭ রিখটার স্কেলে উঠলে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।