ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোর বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হন কয়েকজন শিক্ষার্থী। অনেকে দৌড়ে নামতে গিয়ে আহত হন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ডাকসুর স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ঢাবিতে অন্তত ২১ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া প্যানিক অ্যাটাক, পড়ে যাওয়া ও শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়েছেন আরও অনেক শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে ৬ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে তিনজন, বিজয় একাত্তর হলে দুজন, সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে দুজন, এফ আর হলে দুজন এবং রোকেয়া, শামসুন্নাহার, কুয়েত মৈত্রী, মাস্টারদা সূর্যসেন, ফজলুল হক মুসলিম ও কবি জসিমউদ্দীন হলে একজন করে শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তিনজন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হলে বা বাসায় পাঠানো হয়েছে।
ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ জানান, এখন পর্যন্ত ২০ জন চিকিৎসাধীন। কোনো শিক্ষার্থী চিকিৎসা না নিয়ে থাকলে দ্রুত মেডিকেল সেন্টারে পৌঁছানোর অনুরোধ জানান তিনি।
ফরহাদ বলেন, ডাকসু টিম সকাল থেকেই মেডিকেলে সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছেন।
ভূমিকম্পে মুহসীন হলের বিভিন্ন অংশে পলেস্তারা খসে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হল সংসদের ভিপি সাদিক হোসেন বলেন, ২০১৪ সালে হলটিকে ‘অবাসযোগ্য’ ঘোষণা করা হলেও এক দশকেও কোনো সংস্কার হয়নি। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কর্মচারীদের আবাসিক ভবন ‘স্বাধীনতা টাওয়ার’-এ অবস্থান নিয়ে কয়েকটি কক্ষ দখল করে নেন। নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত না হলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সিদ্ধান্তে নিরাপদ ভবনে উঠে যাবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, কোনো ভবন দখল করা সমাধান নয়। শনিবার বেলা ১১টায় ডাকসু ও হল সংসদ প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে, যেখানে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ