যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় খাদ্য সরবরাহ বাড়ছে, তবে তা চাহিদার তুলনায় এখনও যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি শীতকালীন বৃষ্টি খাদ্যদ্রব্য নষ্টের ঝুঁকি তৈরি করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডাব্লিউএফপি) মুখপাত্র মার্টিন পেনার বলেন, যুদ্ধবিরতির আগের পরিস্থিতির তুলনায় এখন গাজার অবস্থা কিছুটা ভালো। তবে আরও অনেক কাজ বাকি। গাজাবাসীর স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং জীবন পুনর্গঠনে ধারাবাহিক সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
ডাব্লিউএফপি জানিয়েছে, গাজায় কয়েকশ হাজার মানুষের জন্য এখনো জরুরি খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন। আগস্টের এক হিসাব অনুযায়ী, উপকূলীয় অঞ্চলটির অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্যাভাবে বা দুর্ভিক্ষে ভুগছে।
সিনিয়র মুখপাত্রা আবীর এতেইফা বলেছেন, এই সপ্তাহের শুরুতে গাজায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে কিছু সংরক্ষিত খাদ্য নষ্ট হয়ে গেছে। এটি শীতকালে পরিবারগুলোর বাড়তি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম জানিয়েছে, খাদ্য সরবরাহের প্রয়োজন অনুযায়ী তারা মাত্র ৩০ শতাংশ বিতরণ করতে পেরেছে। তবে ধীরে ধীরে এটি পূরণে কাজ শুরু হয়েছে। গাজার বাজারগুলোতে পুনরায় কার্যক্রম শুরু হলেও উচ্চমূল্যের কারণে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা অনেকেই তা কিনতে পারছেন না। বিশেষ করে যারা যুদ্ধের কারণে তাদের কর্মসংস্থান হারিয়েছে।
সংস্থাটি খান ইউনিসে এক নারীর কথা উল্লেখ করেছে। যিনি তার সন্তানদের বাজারে নিয়ে যান না। যাতে তারা খাবার দেখে কেনার জন্য আবদার না করতে পারে।
দুই বছরের যুদ্ধের পর গাজার অধিকাংশ অংশ ধ্বংস হয়ে মানবিক সংকট তৈরি করেছে। গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির পর জাতিসংঘ গাজায় ৪০ হাজার টন খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে।
তবে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা-ঘাট, বর্ডার ক্রসিং পয়েন্টে বাধা, রুট পরিবর্তন ও ব্যাপক দ্রব্যমূল্যের কারণে গাজাবাসী প্রয়োজনীয় খাবার পাচ্ছে না।
সূত্র: রয়টার্স
বিডি-প্রতিদিন/এমই