ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশ করা অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করেছেন ভুক্তভোগী এক পিতা। ওই ভিডিও জেলা জুড়ে ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
২১ মিনিটের ওই লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি একটি ইনজেকশন ভায়াল হাতে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ দিয়েছেন। তিনি কয়েকটি ইনজেকশন ভায়াল হাতে নিয়ে এগুলোর গায়ে লেখা উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেখান। যাতে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ লেখা ডিসেম্বর ২০২১। এই বিষয়ে উপস্থিত নার্সদের জিজ্ঞাস করলেও তারা কোনো উত্তর দেননি। কর্তব্যরত নার্সের কক্ষে গিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন ও মেয়াদ থাকা ইনজেকশনের ভায়াল দেখা যায়। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে। বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে অনেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
ফেসবুকে লাইভ করা ব্যক্তির নাম শাহিনুর ইসলাম। তার বাড়ি উপজেলার আকবপুরে। তিনি বলেন, আমার এক বছরের শিশু সন্তান আরিয়ান ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। তাই গত ৫ মে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। সেখানে গিয়ে সিট পাওয়া যায়নি। বারান্দায় থাকা শিশুটিকে নার্স ভেতর থেকে এনে একটি ইনজেকশন পুশ করে। ইনজেকশনের ভায়াল থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ আমার শিশুর শরীরে প্রয়োগ করা হয়। সামান্য ইনজেকশন ভায়ালে থাকায় তা আমি হাতে নেই। ভায়ালটি হাতে নিয়ে দেখলাম তার মেয়াদ ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়ে গেছে। আমি নার্স ও অন্যান্যদের এই বিষয়ে জিজ্ঞাস করলে কেউ কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া দেখাননি। বাধ্য হয়ে আমি ফেসবুক লাইভে বিষয়টি তুলে ধরেছি। এই লাইভ করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উল্টো আমাকে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছেন। তাহলে অভিযোগ কার কাছে দিব?
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি। তিনি উল্টো প্রশ্ন রেখে বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে তার কি কোনো ভিডিও আছে? কেউ তো লিখিত অভিযোগ দেননি।'
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, 'ভিডিওটি আমার নজরে আসেনি। এই সংক্রান্ত কেউ আমাকে জানায়নি বা লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল