বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ নির্বাচন। তিনি বলেন, যতই সংস্কার করি, বুদ্ধিজীবী মিলে কৌশল আবিষ্কার করার চেষ্টা করি না কেন- কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারব না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য একমাত্র পথ হলো- সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন। গণতন্ত্রের জন্য আর বিকল্প কোনো পথ নেই। কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বৈরাচারবিরোধী গণ আন্দোলনে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন নব্বইয়ের গণ অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী, স্বাধীনতাকামী। তারা বারবার লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে স্বাধীনতার জন্য। দুর্ভাগ্য হচ্ছে সেই লড়াইয়ে মানুষ বারবার হোঁচট খেয়েছে। যতবার হোঁচট খেয়েছে, ততবার উঠে দাঁড়িয়েছে এবং আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, দানব হাসিনা দেশের সব কিছুকে তছনছ করে দিয়েছে। দেশের বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচনব্যবস্থা, আমাদের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাব্যবস্থা- সব জায়গা তছনছ করে দিয়েছে।
মার্কা দেওয়ার এখতিয়ার ইসির, ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন : ‘এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দিলে ধানের শীষ প্রতীক বাতিল করতে হবে’ দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভাই আমরা তো তোমাদের মার্কাতে বাধা দিইনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, কোন মার্কা তোমাদের দেবে, তা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। অযথা বিএনপির ধানের শীষকে নিয়ে টানাটানি কেন? কারণ ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য। সারা দেশে ধানের শীষের স্লোগান উঠেছে। তিনি বলেন, কিছু কিছু মানুষ বা সংগঠন জুলাই আন্দোলনকে নিজেদের আন্দোলন বলে দাবি করেন। অথচ গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছে।