ইরানের সঙ্গে তেল, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং পেট্রোকেমিক্যালস ব্যবসায় করার অভিযোগে ভারত-ভিত্তিক নয়টি কোম্পানি ও আটজন ভারতীয় নাগরিকের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানের ওপর সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির নীতির অংশ হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র এবং ট্রেজারি বিভাগ সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০০ ব্যক্তি, সংস্থা এবং জাহাজকে অন্তর্ভূক্ত করেছে।
বৃহস্পতিবার ঘোষিত এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইরান থেকে পেট্রোলিয়াম এবং পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ৪০টিরও বেশি ব্যক্তি, সংস্থা এবং জাহাজের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। একই সঙ্গে, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের অফিস অফ ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল আরও ৬০টি ব্যক্তি, সংস্থা এবং জাহাজের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইরান থেকে তেল এবং এলপিজি বিদেশে পাঠাতে সহায়তা করার অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরও কয়েকটি দেশের সংস্থাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ভারতীয় কোম্পানিগুলির মধ্যে আটটিই রাসায়নিক ও পেট্রোকেমিক্যাল ট্রেডিং সংস্থা। এদের মধ্যে মুম্বাই-ভিত্তিক সিজে শাহ অ্যান্ড কো, কেমোভিক, মোদি কেম, পারিকম রিসোর্সেস, ইনডিসোল মার্কেটিং, হারেশ পেট্রোকেম এবং শিব টেককেম এবং দিল্লি-ভিত্তিক বিকে সেলস কর্পোরেশন রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অভিযোগ, এই সংস্থাগুলো গত কয়েক বছরে শত শত মিলিয়ন ডলার মূল্যের ইরানি পেট্রোকেমিক্যালস আমদানি করেছে। যা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে।
পাঁচজন ভারতীয় নাগরিককেও স্টেট ডিপার্টমেন্টের তালিকায় আছেন কেমোভিক-এর পরিচালক পীযূষ মগনলাল জাভিয়া, ইনডিসোল মার্কেটিং-এর পরিচালক নীতি উমেশ ভাট, এবং হারেশ পেট্রোকেম-এর পরিচালক কমলা কাসাট, কুনাল কাসাট এবং পুনম কাসাট।
এছাড়াও, ইরান থেকে এলপিজি পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে OFAC-এর তালিকায় রয়েছেন তিনজন ভারতীয় নাগরিক— বরুণ পুলা, আইয়াপ্পান রাজা এবং সোনিয়া শ্রেষ্ঠা। OFAC-এর মতে, সোনিয়া শ্রেষ্ঠার মালিকানাধীন মুম্বাই-ভিত্তিক শিপিং ফার্ম ভেগা স্টার শিপ ম্যানেজমেন্ট-এর একটি কমোরোস-পতাকাবাহী জাহাজ 'নেপটা' ইরান থেকে পাকিস্তানে এলপিজি পরিবহন করেছিল।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল