রংপুরের পীরগঞ্জে ওবায়দুল মিয়া (২৮) নামে এক যুবককে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর এবং গায়ে আগুন দিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের পাটগ্রাম আদিবাসী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী যুবক উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও ভুুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, শনিবার সন্ধ্যার পরে পাটগ্রাম আদিবাসী পাড়ার জসেদ মারান্ডি নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে যান ওবায়দুল মিয়া। তাকে ঘরের ভেতর আটকে রেখে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে মারধর শুরু করে। পরে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রড ও লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে মারপিট করা হয়।
পরিবারের দাবি, তার শরীরে দেশীয়-মদ জাতীয় তরল পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে তার শরীরের পিঠ ও হাতসহ একাধিক স্থান দগ্ধ হয়। ঘটনাটি একজন স্থানীয় বাসিন্দা জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওবায়দুলকে উদ্ধার করে রাতেই পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগীর ভাই আশরাফুল মিয়া বলেন, আমার ভাইয়ের সঙ্গে জসেদ মারান্ডির আগে থেকেই আর্থিক লেনদেন ছিল। সেদিন হাটে গরু কিনতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। জমি বিক্রির টাকাও সঙ্গে ছিল। পরে ওকে ফাঁদে ফেলে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আগুন দিয়ে নির্যাতন করা হয়। তার সঙ্গে থাকা গলায় স্বর্ণের চেন ও গরু ক্রয় করার টাকাসহ একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিল। সব কিছুই ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ওবায়দুল মিয়াকে নির্যাতন করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই