ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি দেশের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর থেকে ‘সব রকম সীমা’ তুলে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইরানের এক জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা। যদি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়ে থাকে, তবে তা গত জুনে সংঘটিত ভয়াবহ সংঘাতের পর ইরানের প্রতিরক্ষা কৌশলে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে।
সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানায়, ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির সদস্য আহমেদ বখশায়েশ আরদেস্তানি এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে খামেনির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি এবং বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে কি না, তাও নিশ্চিত নয়।
আহমেদ বখশায়েশ বলেন, ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি উন্নত করেছে এবং ভবিষ্যতেও যতটা প্রয়োজন মনে করবে, ততটুকু উন্নয়ন করবে। এর আগে, আয়াতুল্লাহ খামেনি ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২,২০০ কিলোমিটারে সীমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন সেই সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়া হয়েছে।
বখশায়েশের ভাষ্যে, তেহরান ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা নিয়ে আর কোনো ধরনের সীমা মানবে না এবং ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিকে সামরিক সক্ষমতার অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে বিবেচনা করছে।
এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সম্প্রতি অভিযোগ করেন, ওয়াশিংটনকে বিভ্রান্ত করতে তেহরানের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে ইসরাইল ‘ভুল তথ্য’ দিচ্ছে। সূত্র : ইরান ইন্টারন্যাশনাল।
বিডি-প্রতিদিন/শআ