স্ত্রী রুপা বেগমকে (২৮) খুন করে স্বামী নাছির উদ্দিন পালিয়ে যাওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ প্রযুক্তিগত কৌশলের মাধ্যমে ঘাতককে লঞ্চঘাট থেকে আটক করেছে। এই ঘটনায় নিহত রূপার ভাই মডেল থানায় মঙ্গলবার সকালে বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার নং ১৪। দুপুরেই আটক নাছির উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, সোমবার পুলিশ প্রযুক্তিগত কৌশলের মাধ্যমে ঘাতক নাছিরের মা ও বোনকে দিয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করেন। তারাই হত্যাকান্ড থেকে নাছিরকে রক্ষা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। মা ও বোনের কথা শুনে নাছির চাঁদপুরে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।
পরবর্তীতে নাছির লঞ্চে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। চাঁদপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি আসলে তার পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকেন। তখন মডেল থানা পুলিশ সাদা পোশাকে লঞ্চঘাট এলাকায় অবস্থান নেয়।
চাঁদপুর মডেল থানা উপ-পরিদর্শক মকবুল হোসেন ও শাহরিন ঘাতক নাসির উদ্দিনকে লঞ্চঘাট থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ মহিউদ্দীন খুনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, পারিবারিক কলহের কারণে ভোর রাতে জেদের বশে দা দিয়ে সে একা স্ত্রী রূপাকে জবাই করে হত্যার কথা স্বীকার করে।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, নাছির তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমরা প্রযুক্তিগত কৌশল অবলম্বন করে পারিবারের মাধ্যমে তাকে চাঁদপুর নিয়ে এসে লঞ্চঘাট থেকে আটক করি। সে তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ