৪ জুলাই, ২০২২ ২১:৪৭

পানি বাড়ায় ফের আতঙ্কে যমুনা পাড়ের মানুষ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

পানি বাড়ায় ফের আতঙ্কে যমুনা পাড়ের মানুষ

পানি বাড়ায় ফের আতঙ্কে যমুনা পাড়ের মানুষ

যমুনা নদীর পানি বাড়তে থাকায় আতঙ্কে দিন কাটছে যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের মানুষের। পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চল ফের প্লাবিত হয়ে পড়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় যেমন ফসল তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে, তেমনি ঘাস ক্ষেত তলিয়ে গো-খাদের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। পানিবাহিত রোগ দেখা দিচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকার কৃষক-শ্রমিকের কাজ না থাকায় পরিবারের আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে। 

অন্যদিকে, পানি বাড়ায় যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ভাঙনে ফসলি জমিসহ বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে জেলার চৌহালী, কাজিপুর ও শাহজাদপুরের অন্তত ১১ শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব পরিবারের ঘরবাড়ি-আসবাবপত্র নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসকল পরিবারের পাশে ইউপি চেয়ারম্যান বা সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পৌঁছেনি।

এছাড়াও ফসল হারিয়ে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ১৫-২০ দিনের বন্যায় জেলার প্রায় দেড়শ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তাঁত পল্লীতে পানি ওঠায় তাঁতের সরঞ্জামাদি নষ্ট হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে বন্যা ও ভাঙন কবলিত মানুষগুলো চরম কষ্ট ও আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন পার করছে।

কাওয়াকোলা ইউনিয়নের মেম্বর রাজ্জাক ভুইয়া জানান, বসতবাড়িতে পানি না ওঠলেও কাওয়াকোলা চর সম্পূর্ণ পানির নিচে রয়েছে। নৌকা ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারে না। কৃষক ও শ্রমিকদের কাজ কর্ম না থাকায় কষ্টে দিন কাটছে তাদের। সরকারিভাবে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি সহায়তা কামনা করেন তিনি।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি দু-একদিনের মধ্যে কমতে শুরু হবে। তবে বড় ধরনের কোনো বন্যার আশঙ্কা নেই। যমুনার অরক্ষিত যে সকল পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিচ্ছে, সেখানেই জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর