কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিনই বাড়ছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকের সংখ্যা। শুক্রবার কুয়াকাটার শতভাগ হোটেল-মোটেল বুকিং রয়েছে। অনেকে রুম না পেয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাসাবাড়িতে। আগত পর্যটকরা সাগরে ঢেউয়ের সাথে তাল মিলিয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন।
কেউ কেউ সৈকতের বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সীমা বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন মার্কেট, ইলিশ পার্ক, গঙ্গামতি, ঝাউ বাগান, শুঁটকি পল্লী, লেবুর বন ও তিন নদীর মোহনায় পর্যটকের উপস্থিতি অনেক। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন খাতের সম্ভাবনার যে দ্বার খুলে দিয়েছে, তার কিছুটা প্রমাণ মিলেছে এবারের ঈদের ছুটিতে। এবার ঈদের পর ১২ জুলাই থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করে। পর্যটক বেড়ে যাওয়ায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন বাণিজ্যও রমরমা।
আগত পর্যটকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা সেতু হয়ে কুয়াকাটা ভ্রমণ এখন স্বস্তিদায়ক। ঢাকা থেকে মাত্র ৬ ঘণ্টায় আসা যায়। যে কারণে পর্যটকরা এই সৈকতে ভ্রমণের জন্য আসছেন।
হোটেল সমুদ্র বিলাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. ইসমাইল ইমন জানান, আগামী চারদিন পর্যন্ত হোটেল বুকিং রয়েছে। হোটেল গোল্ডেন ইন’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, তার হোটেলের একই অবস্থা। ঈদের পর থেকে পর্যটকের ব্যাপক চাপ রয়েছে। আগত পর্যটকরা যদি অগ্রিম হোটেল বুকিং করে আসে, তাহলে ভোগান্তিতে পড়বে না বলে জানান তিনি।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কুটুমের সাধারণ সম্পাদক মো. হোসাইন আমির বলেন, আগের তুলনায় কয়েকগুণ পর্যটক বেড়ে গেছে। এছাড়া পদ্মা সেতুর সুফল পেতে কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্টরা কোমর বেঁধে নেমেছেন। নতুন স্থাপনা তৈরির পাশাপাশি পর্যটক আকর্ষণে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কুটুমের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব বলেন, নিজস্ব পরিবহনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে যেখানে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে ফেরিবিহীন কুয়াকাটা আসতে সময় লাগে মাত্র ৬ ঘণ্টা। এবার ঈদে একদিকে পদ্মা সেতু দেখা, অন্যদিকে কুয়াকাটা ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের সংখ্যা বেশি হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই