বরাদ্দ নেই এমন অজুহাত দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বেতন থেকে ছাড় না করায় বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় ৬ শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এখনো জুন মাসের বেতন পাননি। এই অবস্থায় উপজেলায় ১২৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বঞ্চিত হয়েছেন ঈদ আনন্দ উপভোগ থেকে। তবে, রামপাল উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন না পেলেও জেলার অন্য ৮টি উপজেলার শিক্ষকরা সময় মতো জুনের বেতন পেয়েছেন।
রামপাল উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত একাধিক শিক্ষক জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে বেতন ছাড় না করায় ১২৭ টি স্কুলের ৬ শতাধিক শিক্ষক জুন মাসের বেতন পাননি। ব্যাংকে গিয়ে বেতন না পেয়ে ফিরতে হয়েছে তাদের। এসব শিক্ষকদের অভিযাগ বেতনের জন্য তারা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযাগ করলে বলা হচ্ছে জুনের বেতনের বরাদ্দ এখনো আসেনি। বেতন না পেয়ে অনেক শিক্ষক এবার কোরবানি দিতে পানেননি। জুলাই মাসের ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো রামপাল উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন পাননি।
মোংলা উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নুর ইসলাম জানান, জেলার অন্য ৮টি উপজেলার শিক্ষকরা সময় মতো জুনের বেতন পেয়েছেন। রামপাল উপজেলায় সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের বরাদ্দ নেই এটা অসত্য। সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকরা রাজস্ব খাত থেকে বেতন পান। বাস্তবতা হচ্ছে শিক্ষা অফিস থেকে নিধারিত সময়ে বেতন ছাড় না করায় শিক্ষকরা এখনো বেতন পাননি। বেতন না দিয়ে ৬ শতাধিক শিক্ষকদের কোরবানিসহ ঈদ উল আজাহার আনন্দ উপভোগ থেকে বঞ্চিত করায় রামপাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দ্রুত বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এই শিক্ষক নেতা।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, বরাদ্দ ছিল না তাই বেতন দয়া যায়নি। এখন বরাদ্দ আসছে, বেতন দিয়ে দেয়া হবে। অন্য উপজেলার শিক্ষকরা বেতন পেলেও কেন রামপাল উপজেলার শিক্ষকরা ঈদের আগে বেতন পাননি সে বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের বরাদ্দ ছিল তাই তারা দিতে পেরেছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল