দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উপকূলের আবহাওয়ার কোনো পরিবর্তন না হলেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে গরমের তীব্রতা। তবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ শুক্রবার ভোররাতে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। তাই পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সকল মাছধরা ট্রলারসমূহকে গভীর সাগরে বিচরণ না করে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার শঙ্কায় রীতিমতো দুশ্চিন্তায় দেশের উপকূলীয় কৃষকরা। পাকা বোরো ধান ছাড়াও রবিশস্যসহ সংগ্রহ উপযোগী ফসল দ্রুত কাটার এবং আউশের চাষ ও আউশের বীজতলা রক্ষায় পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে শ্রমিক সংকটে বেশি মজুরি দিয়েই ধান কাটতে হচ্ছে। ধান কাটতে না পারলে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে জানিয়েছেন।এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় উপজেলায় ১৭৫টি সাইক্লোন শেল্টার, ১৯টি মুজিব কিল্লা ও দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক মো.আসাদউজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানলে মোকাবিলায় আমরা প্রস্তত রয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের উপজেলা প্রশাসন দুটি সভা করেছে। সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল