শিরোনাম
- বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য জবির বিশেষ পরিবহন সেবা
- ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
- যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন
- জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার
- বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
- বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
- সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
- রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
- নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
- সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
- যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
- ৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
- জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
- ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
- লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
- ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
- ফিকি লিডারশিপ একাডেমি চালুর উদ্যোগ
- জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাকাইচি
সাতক্ষীরায় ৮৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূণিঝড় মোখা শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলের মানুষ। মোখা মোকাবিলায় সর্তক অবস্থানে থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন।
ইতোমধ্যে জেলায় সাইক্লোন সেল্টার, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৮৮৭টি সাইক্লোন সেন্টার কাম আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে গড়ে উঠা সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলা শ্যামনগরে ১৬৩টি ও আশাশুনি উপজেলার ১০৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে ৮৮৭টি সাইক্লোন সেল্টার কাম আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪ লাখ মানুষের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হবে।
সাতক্ষীরা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাসেত জানিয়েছেন, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘‘মোখা’’কে সামনে রেখে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে মোট ৮৮৭টি সাইক্লোন সেন্টার কাম আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এছাড়া ৪১৬ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ নগদ টাকা ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫ হাজার সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, উপকূলবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য উপজেলার ১৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র্র প্রস্তুত করা হয়েছে। শুকনা খাবর, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারের জন্য সিপিবি, রেডক্রিসেন্ট ও উদ্ধারকারী টিমসহ ১৩টি মেডিকেলটিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে, উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনির নদীরক্ষা বাঁধগুলোর সংস্কার কাজ চলমান থাকলেও বেশকিছু অঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বেড়িবাঁধ। বিশেষ করে শ্যামনগরের ব-দ্বীপ গাবুরা দৃষ্টিনন্দন এলাকার নদীরক্ষা বাঁধটি কিছুদিন আগে নদীভাঙনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া দূর্গাবাটি ও পশ্চিম দূর্গাবাটিসহ কয়েকটি পয়েন্ট খুবই দুর্বল ও ভঙ্গুর অবস্থায় দীর্ঘদিন যাবত পড়ে রয়েছে। এছাড়া আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার পয়েন্টে খুবই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরিভিত্তিতে টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণের জন্য দাবি করেছেন তারা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় সকল ধরনে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক টিমসহ সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে কাজ করছেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
এই বিভাগের আরও খবর