আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে বেড়েছে গরু ছাগলসহ গবাদি পশু চুরি। প্রতিদিনই জেলার কোনো না কোনো স্থানে গরু ছাগল চুরির ঘটনা ঘটছে। মাত্র কয়েক দিন আগেও বাহুবল উপজেলায় নতুন বাজার থেকে সিএনজিযোগে অভিনব কায়দায় ছাগল চুরির সময় দুই চোরকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে তাদের থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এছাড়াও আজমিরীগঞ্জ, চুনারুঘাট ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলায়ও গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত ১৬ জুন সদর উপজেলার রিচি ঈশান কোনা গ্রামের একটি গোয়াল ঘর থেকে তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় একদল চোর। পরে গরুর মালিক বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গরু উদ্ধারে মাঠে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। পরে শহরের মোহনপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি চুরি হওয়া যাওয়া গরু। এসময় আটক করা হয় একজন। পরে গুরুগুলো হস্তান্তর করা হয় সদর থানায়।
এদিকে, চুনারুঘাট উপজেলার চা বাগানগুলোতে সম্প্রতি গরু চুরির হিড়িক পড়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো গোয়াল ঘর থেকে রাতের আধারে গরু চুরির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু কিছু মালিক পুলিশকে বিষয়টি জানালেও অধিকাংশ মালিকরাই পুলিশের কাছে যাচ্ছেন না।
চুরি হওয়া গরুর মালিকরা বলছেন, কোরবানির ঈদ সামনে আসলেই চোরেরা বেপরোয়া হয়ে যায়। ফলে রাত জেগে পাহাড়া দিতে হয় গোয়াল ঘর। এছাড়াও দিনের বেলায়ও বাগান থেকে গরু চুরি হচ্ছে। শুধু হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ও চুনারুঘাট উপজেলাই নয়, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ ও লাখাইসহ বিভিন্ন উপজেলায় গরু চুরির ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ৩টি গরু উদ্ধারের পর সেগুলো সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শুধু গরু চুরিই নয়, মাদক, জুয়াসহ যেকোনো অপরাধীদের ধরতে ডিবি পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই