ফরিদপুরে ক্রমেই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। রোগীর সংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত চব্বিশ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ফরিদপুরের হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জন রোগীর মৃত্যু হলো।
এদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চাপ সামলাতে গিয়ে হিশশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কতৃপক্ষের। প্রতিদিনই রেকর্ড পরিমান রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতাল গুলোতে। ফলে শর্য্যা সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড ছাড়িয়ে এখন রোগীরা থাকছেন হাসপাতালের বারান্দা, সিড়িন নীচে এমনকি হাসপাতাল চত্বরের খোলা আকাশের নীচে। হাসপাতালের এক ভবন থেকে অন্য ভবনে যাতায়াতকারী লেনটিও রয়েছে ডেঙ্গু রোগীর দখলে।
রবিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ডেঙ্গু রোগীর জন্য যে নির্ধারিত ওয়ার্ড রয়েছে সেখানে রোগীদের থাকার কোন জায়গা নেই। শর্য্যা সংখ্যা না পেয়ে অনেক রোগী হাসপাতালের বারান্দা, সিড়ির নীচে, হাসপাতাল অভ্যন্তরে চলাচলকারী লন এমনকি খোলা জায়গায় রোগীদের থাকতে দেখা গেছে। রাজবাড়ী থেকে আসার এক রোগীর স্বজন জানান, তারা রবিবার ভোরে হাসপাতালে এসে কোন শর্য্যা পাননি। তাই বাধ্য হয়ে বারান্দায় তাকে রাখতে হয়েছে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীর জন্য আরো কয়েকটি ওয়ার্ড তৈরী করা হলে ভালো হতো। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিন দিন ধরে হাসপাতালের মেঝেতো চিকিৎসা নিচ্ছেন রাসেল আহমেদ নামের এক ব্যক্তি তিনি বলেন, প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে আলাদা ভাবে রোগী থাকায় চিকিৎসা নিতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া মশা ও গরমে অনেকেই অতিষ্ঠ অবস্থায় রয়েছেন।
সিভিল সার্জন জানান, এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জন মারা গেছে। জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ১৬০ জন। এরমধ্যে ৪ হাজার ৮০৯ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম