গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণের পর উজানের পানি নেমে আসায় ভালুকায় ভেসে গেছে প্রায় তিন শতাধিক মৎস্য খামার। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তা। এতে করে একেবারেই পথে বসে গেছেন প্রায় একশত মৎস্য খামারি।
রবিবার উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের বাইরপাথার গ্রামে গেলে কথা হয় খামারি তোজাম্মেল হক সুমন ও আব্দুস সামাদের সাথে। তারা জানায় এক রাতে তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
খামারি তোজাম্মেল হক সুমন আরও জানায়, খামারের বাধ ভেঙে বানের পানিতে সব মাছ ভেসে যাওয়ায় তারা এখন সর্বশান্ত। মাছ বিক্রি করে জমির ভাড়া ও খাদ্যের টাকা পরিশোধ করার কথা ছিলো। হটাৎ করেই সব শেষ হয়ে গেলো। বাকিতে মাছের খাদ্যের টাকা ও লিজ নেওয়া জমির ভাড়া পরিশোধের চিন্তায় তিনি এখন দিশেহারা।
ভালুকা পৌর এলাকার নূরুল ইসলামের ২০ একর জমির খামার হতে মাছ ভেসে গেছে। কংশেরকুল গ্রামের আলামীন, মুক্তার আলী, আইয়ূব আলী, রমজান আলী সহ অনেকের মৎস্য খামার তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিকে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানান তারা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইদুর রহমান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আটশত হেক্টর জমির তিন শতাধিক মৎস্য খামার হতে প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। তিনি শুক্রবার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারগুলো পরিদর্শন করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন