রাজশাহীর তানোরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আওয়ামী লীগ কর্মী জিয়ারুল হককে (৪০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে তানোর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। ওই মামলায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন তালন্দ ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে ফরহাদ আলী (৩৫), আলাউদ্দীনের ছেলে সোহান আলী (২১) ও আবুল হাসান মেম্বারের দ্বিতীয় স্ত্রী ফুলবানু সুমি (৩০)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তিন জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার এক নাম্বার আসামি তালন্দ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান মেম্বারসহ অন্য আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে রাতে মোটরসাইকেল যোগে বিলশহর গ্রামে নিজ বাড়ি ফিরছিল জিয়ারুল। বিলশহর গ্রামের মোকছেদের বাড়ির কাছে আবুল হাসান মেম্বার ও তার লোকজন আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত চলছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে তানোর উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আওয়ামী লীগ কর্মী জিয়ারুল হক। রাতের আঁধারে বিলশহর গ্রামের পাঁকা রাস্তার উপর তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ বিলশহর গ্রাম থেকে ক্ষতবিক্ষত জিয়ারুল হকের লাশ উদ্ধার করে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত