চাঁদপুরে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাতাসের গতি ও বৃষ্টিপাত বেড়েছে। আজ ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের গতি রয়েছে ৬৪ কিলোমিটার। রবিবার মধ্যরাত থেকে চাঁদপুর-ঢাকাসহ সকল রুটে নৌযান চলচাল বন্ধ রয়েছে। সোমবার বৃষ্টির কারণে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শহরের লঞ্চঘাটে প্রবেশ এলাকায় বাতাসে গাছ উল্টে সড়কে পড়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কে যান চলাচলের সংখ্যা খুবই কম। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। জেলার সর্বত্র বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্কে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এছাড়াও মেঘনার নদীর পশ্চিমের চরাঞ্চলে সড়ক ও বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান, ইউনিয়নের পুরোটাই চরাঞ্চল। এখানে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে পানি স্বাভাবিকের চাইতে ৩/৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকার কাঁচা সড়কগুলোর অধিকাংশ স্থানই ভেঙে গেছে। তবে বাড়ি ঘরের তেমন কোন সমস্যা হয়নি।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো: শোয়াইব জানান, আজ ভোর সাড়ে ৪টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের গতি রয়েছে ৬৪ কিলোমিটার। যেহেতু বাতাসের গতি ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত সে কারণে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। চাঁদপুরকে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে শনিবার রাত ১২টার পর চাঁদপুর থেকে লঞ্চসহ সবধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। নৌ বন্দর এলাকার জেলে নৌকা, লাইটারেজ জাহাজ ও যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম
