বগুড়ায় দুপচাঁচিয়া থানার জোড়া হত্যা মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম (৪০) আদালত থেকে পালিয়েছে। বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে জেলা কারাগারে প্রেরণের আগে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কৌশলে পালিয়ে যায় ওই আসামি।
পালানোর সময় তার হাতে হ্যান্ডকাপ ছিল না। কৌশলে হ্যান্ডকাপ খুলে পালিয়েছে সে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পলাতক রফিকুল ইসলাম বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চকপাড়া গ্রামের নছির আকন্দের ছেলে।
আদালতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাজতি আসামি রফিকুল ইসলামকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দুপচাঁচিয়া আমলি আদালতে হাজিরার জন্য জেলা কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে অন্যান্য আসামিসহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। এরপর সেখান থেকে আদালতে হাজিরা শেষে বিকেল ৪টার দিকে হাজতি আসামি রফিকুল ইসলামসহ অন্য আসামিদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিচে প্রিজনভ্যানে তোলার জন্য আদালত ভবনের দোতলায় লিফট ব্যবহার করা হয়। রফিকুল লিফটে না উঠে দোতলার সিঁড়ি দিয়ে কৌশলে ভিড়ের মধ্যে হ্যান্ডকাপ খুলে পালিয়ে যায়। আসামিদের দেখার জন্য ছয়জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত ছিল।
জানা গেছে, কয়েক মাস আগে দুপচাঁচিয়ার জিয়ানগর ইউনিয়নের লক্ষীমন্ডপ গ্রামে ভয়াবহ ডাকাতি ও জোড়া খুনের ঘটনায় অন্যতম আসামি ছিলেন রফিকুল ইসলাম। ওই রাতে সৌদি প্রবাসী শাহাজানের স্ত্রী রিভা আক্তার (৩০) ও শ্বশুর আফতাব উদ্দিন (৭০) নির্মমভাবে খুন হন। অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যায় পরিবারের শিশু রুকাইয়া তাসনিম মালিহা। হত্যার পর নগদ ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা ও প্রায় ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুট করে নেয় ডাকাতরা। মামলায় ছয়জনকে গ্রেফতার করলেও অন্য আসামিরা এখনো অধরা। উদ্ধার হয়নি মূল লুণ্ঠিত অর্থ ও স্বর্ণালংকারও। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে রফিকুলসহ গ্রেফতার আসামিরা স্বীকার করে যে, মোট ১১ জন ওই ডাকাতিতে অংশ নিয়েছিল।
নিহতদের স্বজনরা জানান, ছয়জন গ্রেফতার হলেও পাঁচ আসামি অধরা রয়েছে। এখন আবার রফিকুল আদালতে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেল। এতে আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। পুলিশের গাফিলতি নাকি ইচ্ছাকৃত পালিয়ে দেওয়া-এর সঠিক তদন্ত চাই।
বিডি প্রতিদিন/এমআই