দেশের প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক হলেও সিটি ব্যাংক প্রযুক্তিগত দিক থেকে সব সময়ই এক ধাপ এগিয়ে। সেই পথচলার অংশ হিসেবেই ২০১৩ সালে আমরা দেশের প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ ‘সিটিটাচ’ চালু করি ব্যাংকিং গ্রাহকের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আজ ৯ লাখের বেশি মানুষ প্রতিদিন ১ লক্ষাধিক লেনদেন করছেন সিটিটাচের মাধ্যমে। যেখানে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকার বেশি।
পেমেন্ট সার্ভিস আমরা সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও আধুনিক করেছি। সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্ট সার্ভিস ‘ট্যাপ অ্যান্ড পে’ নিয়ে এসেছি। এনএফসি-সাপোর্টেড ফোন থাকলে প্লাস্টিক কার্ড ছাড়াই শুধু ফোন ট্যাপ করে পেমেন্ট করা যায়। পেমেন্টের সুবিধার জন্য সিটিটাচে রয়েছে ভার্চুয়াল কার্ড এবং আমাদের বিশাল বাংলা কিউআর মার্চেন্ট নেটওয়ার্ক দিয়ে দেশের যে কোনো প্রান্তে ক্যাশলেস পেমেন্ট করা যায়। এ ছাড়া সিটিটাচ থেকে গ্রাহক এখন ইউটিলিটি বিল থেকে শুরু করে টিউশন ফি, ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম, ক্লাব ফি কিংবা ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম সবকিছুর পেমেন্ট করতে পারেন। আমাদের কাছে ব্যাংকিং মানে শুধু আর্থিক লেনদেন নয়, বরং মানুষের জীবন সহজ করার একটি মাধ্যম। বিভিন্ন পেমেন্ট সার্ভিসের পাশাপাশি সিটিটাচে পাওয়া যায় স্টেটমেন্ট, সলভেন্সি ও ট্যাক্স সার্টিফিকেট। এমনকি ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিট করার সুবিধাও। এফডি-ডিপিএস খোলা বা ভাঙা, কুইক লোন নেওয়া কিংবা কার্ডের ইএমআই করা, যা একসময় ব্রাঞ্চে না গিয়ে সম্ভব ছিল না, এখন সবই করা যায় ঘরে বসেই।
আমরা জানি উদ্ভাবনের পাশাপাশি গ্রাহকের আস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই সিটিটাচে আছে বায়োমেট্রিক লগইন। এ ছাড়া প্রতিটি লেনদেন ওটিপি ভেরিফিকেশন এবং রিয়েল-টাইম অ্যালার্টের মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখা হয়। আমরা সিটিটাচকে একটি ডিজিটাল ইকোসিস্টেম হিসেবে তৈরি করছি, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডেটানির্ভর হবে এবং গ্রাহকের একক প্রয়োজন বুঝে তাৎক্ষণিক সেবা দেবে। গ্রাহকের ব্রাঞ্চের নির্ভরতা একেবারে কমিয়ে নিয়ে আসবে।