নড়াইলে অসময়ে তরমুজ চাষে কৃষকের ভাগ্যবদল হচ্ছে। মাছের ঘেরে বাঁশের খুঁটি আর জালের ব্যাগে ঝুলছে সারি সারি হলুদ ও সবুজ রঙের তরমুজ। ঘেরপাড় থেকেই অনেকে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কৃষি বিভাগের সহায়তায় প্রথমবারের মতো অফ সিজন তরমুজ চাষ করেছেন কৃষকরা। জেলার সদর উপজেলায় ১০ হেক্টর, লোহাগড়ায় দুই হেক্টর ও কালিয়ায় ১১ হেক্টর জমিতে এ তরমুজ চাষ হচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, আগামী বছর আরও বড় পরিসরে আবাদ করবেন। কৃষি কর্মকর্তাদের আশা, জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ চাষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।
সরেজমিনে সদর উপজেলার মির্জাপুর মাঠে আকিনুর মল্লিকের মাছের ঘেরে দেখা যায়, ঘেরের পাড়ের ২০০ গাছের প্রায় প্রতিটিতে ধরেছে ফল। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো ৩৩ শতক জমিতে অফসিজন তরমুজ চাষ করেছি। কৃষি অফিসের পরামর্শে মির্জাপুর গ্রামে আমিই প্রথম শুরু করি। অফিস থেকে আমাকে বীজ, সারসহ প্রয়োজনীয় উপাদান দিয়েছে। আমার উৎপাদিত তরমুজ বাজারে তুলতে হয় না। ঘরপাড় থেকেই কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আগামী বছর আরও বড় পরিসরে চাষ করব।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ উপপরিচালক জসীম উদ্দীন বলেন, নড়াইলে দিন দিন অফসিজন তরমুজের আবাদ বাড়ছে। জেলায় এ বছর ২৩ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। আমরা চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দচ্ছি।