রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে প্রকাশ্যে যুবদল নেতা ও থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৫০) গুলি করে হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা মঙ্গলবার পল্লবী থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় মো. জনি ভূইয়া (২৫), সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন (৩০), সোহাগ ওরফে কাল্লু (২৭), মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম (২৮) ও রোকনের (৩০) নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।তিনি বলেন, যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং একজন গ্রেপ্তার আছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি পাতা সোহেল ও আসামি মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তারা পূর্ব পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিলে আসামি জনি ভূইয়া, সোহাগ ওরফে কালু ও রোকন দোকানে অতর্কিতভাবে প্রবেশ করেন। কেউ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসামিরা পিস্তল দিয়ে গোলাম কিবরিয়ার চোয়ালে, গলার ডান পাশে, বাম কানের পেছনে, ঘাড়ের পেছনে, বুকের ডান ও বাম পাশে, ডান হাতের বাহু, বাম হাতের কুনই, বাম হাতের কব্জিসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। গুলির পর কিবরিয়া রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের ফ্লোরে পড়ে গেলে পিস্তলসহ আসামিরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে পল্লবীর পুরোনো থানার কাছে ‘সি’ ব্লকে একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দোকানে মাস্ক ও হেলমেট পরা তিন ব্যক্তি ঢুকে খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে চলে যান। কিবরিয়া দোকানে থাকা চেয়ার ধরে লুকানোর চেষ্টা করেন। মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
পরে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশাচালককেও গুলি করে। আহত রিকশাচালক আরিফ হোসেন (১৮) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কিবরিয়াকে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আসামি জনিকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন