বগুড়া সদরের নামুজা এসএসআই ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ না পেয়ে শাহাদত হোসাইন নামের এক ব্যক্তি সাবেক বগুড়া জেলা প্রশাসকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। তিনি দাবি করে বলেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও ঘুষ না দেওয়ায় তাকে চাকরি দেওয়া হয়নি। এদিকে আদালত বিবাদীদের কৈফিয়ত তলব করলেও সময়মতো জবাব না দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিচারক। মামলা সূত্রে জানা যায়, মাটিডালী এলাকার শাহাদত হোসাইন নামুজা এসএসআই ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ল্যাব সহকারী পদে আবেদন করেছিলেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন। নিয়োগ কমিটির স্বাক্ষরিত ফলাফলও হাতে পান। এরপর গত ১৫ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রুস্তম আলী তাকে ডেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। শাহাদত হোসাইন ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে ৬ অক্টোবর স্থানীয় পত্রিকায় একই পদে নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর শাহাদত হোসাইন সাবেক জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাকে বিষয়টি জানাতে গেলে তাকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনি লিখিত অভিযোগও জমা দেন।
কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না পেয়ে শাহাদত হোসাইন গত ৯ অক্টোবর সাবেক জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাকে প্রধান বিবাদী করে প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।