বাজারে ‘গোলাপজল’ ও ‘কেওড়া জল’ নামে বিভিন্ন সুগন্ধি খাদ্যে ব্যবহারের যোগ্য বলে প্রচার করা হলেও, এদের বড় অংশেই সঠিক উপাদান ও লেবেলিং নেই—এমনই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনেক পণ্যের লেবেলে ‘খাবার উপযোগী’, ‘ফুড গ্রেড’, ‘খাদ্য আইন অনুসরণ করে প্রস্তুত’, কিংবা ভেজিটেরিয়ান চিহ্ন হিসেবে সবুজ সিম্বল ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে উপাদান তালিকায় শুধুমাত্র পানি ও গোলাপ/কেওড়া ফ্লেভার উল্লেখ থাকায় ব্যবহৃত রাসায়নিকের প্রকৃতি নির্ণয় করা যাচ্ছে না এবং ভোক্তারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩–এর ২৭ ও ৩২ ধারা অনুযায়ীখাদ্যে অননুমোদিত সংযোজন দ্রব্য ব্যবহার বা ভুল লেবেলিং উভয়ই দণ্ডনীয় অপরাধ। মোবাইল কোর্টের সাম্প্রতিক অভিযানে একাধিক কারখানায় গোলাপজল ও কেওড়া জল তৈরিতে অননুমোদিত রাসায়নিক, এমনকি কিডনি ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, যেসব সুগন্ধি পণ্যের লেবেলে মোড়কাবদ্ধ খাদ্য লেবেলিং প্রবিধানমালা ২০১৭–এর বিধান অনুযায়ী ‘অনুমোদিত প্রাকৃতিক’, ‘অনুমোদিত কৃত্রিম’ বা ‘অনুমোদিত প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম’—এ ধরনের স্পষ্ট উল্লেখ নেই, অথবা কৃত্রিম সুগন্ধির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত উপাদানের সাধারণ নাম ও প্রয়োজনীয় হলে আইএনএস নম্বর উল্লেখ করা হয়নি, সেসব পণ্য উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
রেস্টুরেন্ট, বেকারি, কমিউনিটি সেন্টার, ক্যাটারিংসহ সকল খাদ্য প্রস্তুতকারী ও সরবরাহকারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপরোক্ত মানদণ্ড পূরণ না করা যেকোনো সুগন্ধি খাদ্যে ব্যবহার করা যাবে না।
একই সঙ্গে সাধারণ ভোক্তাদেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে- যথাযথ লেবেলিংবিহীন গোলাপজল বা কেওড়া জল খাদ্যে ব্যবহার বা ক্রয় থেকে বিরত থাকতে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা