৪০ বছর আগের ঘটনা। তারপরও সেই পরাজয় আমাকে কাঁদায়। কথাগুলো বলছিলেন ইমতিয়াজ সুলতান জনি। ১৯৮৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল দ্বিতীয় সাফ গেমস। ওই সময়ে ফুটবল ইভেন্টে জাতীয় দলগুলোয় অংশ নিত। ১৯৮৪ সালে কাঠমান্ডু প্রথম সাফ গেমসেই ফুটবলে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। নেপালের কাছে হেরে সোনা জেতা হয়নি আসলাম, চুন্নুদের। ১৯৮৫ সালে আবারও ফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। তবে প্রতিপক্ষ দেশ ছিল ভারত। বাংলাদেশ জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন ইমতিয়াজ সুলতান জনি। ৪০ বছর আগের ফাইনালের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
জনি বলেন, ‘ফাইনাল সন্ধ্যায় হলেও দুপুরের মধ্যে পুরো গ্যালারি ভরে যায়। ডিসেম্বর বিজয়ের মাস ছিল বলে গ্যালারিতে লাল-সবুজের পতাকায় ভরে গিয়েছিল। সবার বিশ্বাস ছিল আমরাই সোনা জিতব। প্রথম গেমসে নেপালের কাছে হেরে সোনা জেতা হয়নি। আমরাও প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ঘরের মাঠে দেশকে সোনা উপহার দেব। যে কোনো ফুটবল আসরে বাংলাদেশ-ভারতের এটিই ছিল প্রথম ফাইনাল। বলতে পারেন দুই দেশের ম্যাচ ঘিরে সেই থেকে উত্তেজনা শুরু।’
জনি বলেন, ‘গোটা দেশ অপেক্ষায় ছিল কখন আমরা সোনা জিতব। দুর্ভাগ্য আমাদের টাইব্রেকারে হেরে সোনার বদলে গলায় রৌপ্য পদক ঝুলিয়েছিলাম। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র ছিল। বাংলাদেশের আসলাম ও ভারতের শিশির ঘোষ গোল করেছিলেন। পুরো ম্যাচই ছিল আমাদের নিয়ন্ত্রণে। শেষ পর্যন্ত কি না তীরে এসে তরি ডুবালাম। টাইব্রেকারে শট মিস করায় স্বপ্নটা ভেঙে যায়। হঠাৎ করেই দুঃখের স্মৃতিটা বড্ড মনে পড়ছে। হয়তো অনেক দিন পর ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ হচ্ছে বলে ৪০ বছর আগের সেই স্মৃতিটা মনে করিয়ে দিচ্ছে। আমার বিশ্বাস আমরা না পারলেও জামালরা ঠিকই ভারতকে হারাবে। এতে যন্ত্রণা কিছুটা হলেও কমবে।’